স্বাধীনতা কবিতা: ওই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,ওই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল নাএই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না।তাহলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে বৃক্ষে ফুলের বাগানেঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি? জানি সেই দিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যতকালো হাত। তাই দেখি কবি হীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজকোভিদ বিরুদ্ধে কবি,মাঠের বিরুদ্ধে […]
সাম্যবাদী কবিতা: গাহি সাম্যর গান —যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম -খৃষ্টান।গাহি সাম্যর গানকে তুমি?-পার্শি? জৈন? ইহুদী? সাঁওতাল, ভীল, গারো?কমফুসিয়াস? চার্বাক —চেলা? বলে যাও, বল আরও!বন্ধু যা খুশি হওপেটে পিঠে কাঁদে মগজে যা খুশি পুথি ও কেতাব বও,কোরান পুরান বেদ বেদান্ত বাইবেল এিপিটকজেন্দাবেস্তা গ্রন্থ সাহেব পড়ে যাও যত সখকিন্তু কেন এই পশিশ্রম
১৮ বছর বয়স কবিতা: ১৮ বছর বয়স কি দুঃসহস্পর্ধায় নেয় মাখা তোলবার ঝুঁকি১৮ বছর বয়সেই অহরহবিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি ১৮ বছর বয়সের নেই ভয়পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়১৮ বছর বয়স জানে না কাঁদা। এ বয়স জানে রক্তদানের পূণ্যবাষ্পের ব্যাগেজ স্টিমারের মতো চলেপ্রাণ দেয়া নেয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্যসঁপে আত্নাকে
সোনার-তরী: গগনে গর্জে মেঘ, ঘন বরষা।কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা।রাশি রাশি ভারা ভারাধান কাটা হল সারা,ভরা নদী ক্ষুরধরাখর- পরশা—কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষাএকখানি ছোটো ক্ষেত আমি একেলাচারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলাপরপারে দেখি আঁকাতরুছায়ামশি-মাখাগ্রামখানি মেঘে ঢাকাপ্রবাদবেলাএ পারেতে ছোট ক্ষেত, আমি একেলাগান গেয়ে তরি বেয়ে কে আসে পারেদেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।ভরা পালে চলে যায়কোন
বঙ্গভাষা কবিতা বঙ্গভাষা কবিতায় কবির আত্মবোধ ও আত্মচেতনা উজ্জল ও স্পষ্ট হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। কঠিন আঘাতেই মানুষ নিজেকে আবিষ্কার করতে পারে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তার দুচোখে ছিল বিখ্যাত কবি হবার স্বপ্ন। সে স্বপ্নকে তিনি বাস্তবে রূপ দিতে চেয়েছিলেন পৌর ভাষা ইংরেজি চর্চা করেন। তাই তিনি ইংরেজিতে কবিতা লিখতে শুরু করেন। কিন্তু তার
বঙ্গভাষা কবিতা–বঙ্গভাষা কবিতার পাঠ পরিচিতি Read More »
হে বঙ্গ, ভাগুারে তব বিবিধ রতনতা সবে, ( আবধ আমি) অবহেলা করি,পর ধন লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণপরদেশী ভিক্ষাবৃত্তি ওখানে আচরি।কাটাইনু বহুদিন সুখ পরিহরিঅনিদ্রায় অনাহারে সপি কায় মনঃ,মজিনু বিফল তপে অবরেণো বরি;কেলিনু শৈবালে ভুলি কমল কানন। স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরেওরে বাঁচা মাতৃকোষে রতনের রাজি,এ ভিখারি দশা তবে কেন তোর আজি?যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যারে
গীতাঞ্জলি ১:আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে।সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে।নিজেরে করিতে গৌরব দান নিজেরে কেবলই করি অপমান, আপনারা শুধু ঘেড়িয়া ঘেরিয়া ঘুরে মরি পলে পলে। সকল অহংকার হে আমার। ডুবাও চোখের জলে। আমারে না যেন করি প্রচার আমার আপন কাজে তোমারই ইচ্ছা করো হে পূর্ণ আমার জীবন মাঝে। যাচি
