ক্ষণিকের দেখা:
একটু পরেই লোক পাঠাবে শামীম কবিতার জন্যে,
আমি তার পথ চেয়ে আছি। অথচ কবিতা দূরে,
বহুদূরে মেঘ হয়ে আছে, ঝুলে আছে আলগোছে শাখাহীন।
এখন আমি কি চুপচাপ গৃহকোণে
একলা থাকবো বসে নড়বড়ে চেয়ারে আমার?
নাকি শার্ট আর ট্রাউজার পরে পুকুরের ঘাটে
দাঁড়াবো খানিক ফুরফুরে হাওয়ায়
কিছুটা বেঁচে থাকবার জন্যে
কবিতার চুল টানা কিংবা কানমলা থেকে? না,
এভাবে পালানো নিশ্চিত অনুচিত একেবারে।
কথা দিয়ে কথাকে হঠাৎ অক্ষরের গিলোটিনে
ফেলে চলে যাওয়া কবিকে কাদায়
ফেলে হৈ-হুল্লোড় ছাড়া কিছু নয়।
এরকম সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে
অকস্মাৎ চোখে পড়ে- একটি সুনীল হ্রদে একজন নারী
পূর্ণিমার মতো পূর্ণ নগ্নতায় স্নান করে।
অথচ আমি তো একা নিজের ঘরেই
বসে আছি কেমন বিক্ষিপ্ত মনে।
সে নগ্নিকা কী কোমল উঠে আসে তীরে,
আমার দিকেই চলে আসে নিরিবিলি,
‘ভয় নেই, কবিতা তোমার অন্তরেই এখন মুদ্রিত;
শুধু লিখে নাও সফেদ কাগজে,
প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে একটু পরেই।
শোনো কবি, এখন ঘরের বইপত্র,
খাতা, ছবি—সবকিছু ভুলে যাও,
শুধু মনে রেখো, চকিতে আমাকে
তুমি ক্ষণিক দেখতে পেয়েছিলে!