ধন্য ধন্য রবে মুখরিত

ধন্য ধন্য রবে মুখরিত

ধন্য ধন্য রবে মুখরিত: মহাকালের মৃত্তিকায় স্বাক্ষর রেখে চলেছে আমার মায়ের মুখের ভাষা, যেমন তালপাতায় মহাকাব্য রচনা করেছেন বাল্মীকি এবং ব্যাস। কপোতাক্ষ নদের কিনারে পড়ন্ত বিকেলে স্যুট-বুট-পরা মাইকেল মধুসূদন গা এলিয়ে আবৃত্তি করছেন মিল্টনের ‘প্যারাডাইস লস্ট’ কিংবা নিজের পঙ্ক্তিমালা। শান্তিনিকেতনে ধ্যানমগ্ন রবীন্দ্রনাথ মানসে ধারণ করছেন বিশ্বরূপ এবং অম্লান কাব্যধারা। লালন ফকির পথেঘাটে বাজিয়ে চলেছেন একতারায় […]

ধন্য ধন্য রবে মুখরিত Read More »

প্রণতি জানাই

প্রণতি জানাই

প্রণতি জানাই: এই যে আমার দু’চোখের ক্লান্তি মুছে ফেলে সবুজ গাছপালা, ফসলের মাঠ, নানা রঙের ফুল, কূল-ছাপিয়ে-ওঠা নদী, গোধূলি-রঙিন পথ, পালতোলা নাওয়ের এগিয়ে চলা হাওয়া-স্পন্দিত বাঁশপাতা, সর্ষে ক্ষেতে গ্রামীণ কিশোরীর প্রজাপতি ধরার জন্যে আভাময় ছোটাছুটি, দিঘির ঘাটে তৃষ্ণার্ত পাখির জলপান, কী করে ভুলব এদের বদান্যতা! এই নিসর্গ, এই জীবনের স্পন্দন, যে দেশে প্রস্ফুটিত, আমি সে

প্রণতি জানাই Read More »

ডাইনোসর উঠে এলেও

ডাইনোসর উঠে এলেও

ডাইনোসর উঠে এলেও: আমি তো মাঝেমাঝে বাইরেই যেতে চাই, অথচ ঘর আমাকে আটকে রাখে। ঘরে বসে আমি দেখতে পাই একচিলতে আকাশ, নীলিমার বিশালতা দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। কখনও সখনও একটি কি দুটি পাখি চোখে পড়ে। পাশের বাড়ির জানালার ওপরের কার্নিশে যুগল পায়রার কোমল প্রণয় আমাকে মুগ্ধ করে, কিন্তু ঝাঁকঝাঁক পাখির পভূক্তিমালা আমার উৎসুক দৃষ্টির আওতার

ডাইনোসর উঠে এলেও Read More »

নাকি শুধু হিমযুগ

নাকি শুধু হিমযুগ

নাকি শুধু হিমযুগ: তাকে কি নিশুতি রাত ডেকেছিল? নাকি সমুদ্রের তরঙ্গের ধ্বনি তার কানে ঢেলেছিল জলকন্যাদের কোনও মোহময় গান? নইলে কেন শহুরে বাড়ির সুসজ্জিত বড় ঘরে কাউকে কিছু না ব’লে মধ্যরাতে কেমন নিশ্চুপ নিঃসাড়, শীতল হয়ে গেলেন হঠাৎ আঙুলের ফাঁকে ছিল আধপোড়া, নেভা সিগারেট, টিপয়ে ফতুর গ্লাশ, ঈষৎ কুঞ্চিত নিরুপায় রাতের পোশাক গায়ে। নানান হুইস্কি,

নাকি শুধু হিমযুগ Read More »

অফিস হওয়ার জন্যে

অফিস হওয়ার জন্যে

অফিস হওয়ার জন্যে: এখন ঘন ঘন আমার চারপাশে আজরাইলের চিরতরে দু’চোখ-বোজানো কৃষ্ণ ডানা ঝলসে উঠছে। একে একে অন্তর্হিত হচ্ছেন আমার চেনাজানা অনেকেই। তাদের কেউ কেউ খুবই ঘনিষ্ঠজন। এই তো সেদিন সেই কৃষ্ণ ডানা আমাকেও ঝাপ্‌টা মারতে চেয়েছিল। এবার ফাঁড়া কেটেছে, আবার কবে ডানা ছড়িয়ে হাজির হয় আজরাইল, কে জানে! মিস্টার ডেথ, জনাব মণ্ডত সম্প্রতি আমার

অফিস হওয়ার জন্যে Read More »

কবি লিখে যান জয়গাথা

কবি লিখে যান জয়গাথা

কবি লিখে যান জয়গাথা মুদ্রিত তথ্যানুযায়ী জানি লোকটার জীবনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মিশেছে ধূসর গোধূলিতে। ছিল না সে কারও সাতেপাঁচে, লাঠি দিয়ে মারেনি মাথায় বাড়ি কোনও মানবের অথবা কখনও তাক করেনি বন্দুক কারও বুক লক্ষ করে, এমনকি পাখিরও জীবন করেনি হরণ কোনওকালে। যতদূর জানি, আজ অব্দি প্রাণীহত্যা স্বচক্ষে দেখেনি, বরং সে রেখেছে দু’হাতে মুখ ঢেকে, যখন

কবি লিখে যান জয়গাথা Read More »

কোনও এক মধ্যরাতে

কোনও এক মধ্যরাতে

কোনও এক মধ্যরাতে: নিদ্রার নদীতে নিঝুম ভেসে যাচ্ছিলাম একটানা প্রগাঢ় নিশীথে। হঠাৎ আশ্চর্য নিঃশব্দ কলরবে জেগে উঠি। ঘরে নিশুত শয্যায় একলা আমি, আশেপাশে কেউ নেই, তাহলে এই শব্দহীন শব্দের উৎস কোথায়? বিস্ময়-বিহ্বল আমি কান পাতি নিশীথের হৃৎস্পন্দনে। আমার শ্রুতিতে ভেসে আসে কিছু কথা। কথাগুলো স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হতে থাকে। সেসব কথা উঠে আসছে আমার বড়

কোনও এক মধ্যরাতে Read More »

দাঁড়ালেই টলতে থাকি

দাঁড়ালেই টলতে থাকি

দাঁড়ালেই টলতে থাকি: দাঁড়ালে টলতে থাকি খনিক হাঁটতেচেষ্টা করলেই রুক্ষ ধূসর ধুলােয়স্রেফ মুখ থুবরে পড়ি, আবার কখনওখাবি খাই থকথকে কাদায়, এখনআমার এমনই হাল। শত্রুরা চৌদিকেপেটে পড়ে ঠা ঠা অট্টহাসিতে এবং বন্ধুবান্ধব বেজায়মনোকষ্টে ভোগেন আমার অবাঞ্ছিতএ দুর্দশা দেখে। লজ্জায় কুঁকড়ে থাকি, নিজেকে লুকোতে ইচ্ছে করে,যেমন আহত জন্তু খোঁজে অন্ধকার গুহা। এই অক্ষমতাজানিনা ভোগাবে কত দিন কতকালআমাকে

দাঁড়ালেই টলতে থাকি Read More »

একটি প্রাচীন গ্রন্থ

একটি প্রাচীন গ্রন্থ

একটি প্রাচীন গ্রন্থ কি নিঝুম শুয়ে আছে একানিশীতে টেবিলে যেন তারদু চোখে ছিলনা ঘুম বহুকাল। পুরনো নিদ্রার ঘ্রানবুঝি বা ছড়ানো সারা ঘরে সেকি ক্ষণিক তুলেছেহাই কিংবা আরমোরমোড়া ভাঙলো খানিকনা কি কিছুক্ষণআছাড়িপিছাড়ি করে ডলে পরে ঘুমে। অকস্মাৎপ্রাচীন গ্রন্থটি যেন কারো মুখ হয়ে তীক্ষ্ণতাকায় আমার দিকে জ্বলজ্বলে চোখে। পুস্তকেরপাতাগুলি কোথায় গায়েব হলো চোখের পলকপড়তে না পড়তেই? বই

একটি প্রাচীন গ্রন্থ Read More »

একটি অপমৃত্যু

একটি অপমৃত্যু

একটি অপমৃত্যু: খাম ছিড়ে কোন খেয়ালেচিঠিটা ফেলে দিয়ে দেখি হাতে খামনারচে হাওয়ায় এবংবাজে কাগজের ঝুড়ি থেকে কেমনআর্তনাদ উঠে এসে জড়িয়ে ধরে আমাকে।মনে হল সেই চিঠি শোখ হয়েঝুলছে অক্ষর হারিয়ে। হারিয়ে যাওয়া অক্ষরগুলোকেখুঁজতে থাকি এদিক ওদিক। হোঁচট খাইবারবার। টেবিলের কিনার ধরেনিজের সামনে নিই। হারিয়ে যাওয়া অক্ষরগুলোআমাকে ঠোকরায় অবহেলিতঅস্তিত্বের জ্বালা জুড়োবার হিংস্রতায়। ওদের জড়ো করে বসাই আমার

একটি অপমৃত্যু Read More »

Scroll to Top