ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য নিয়ে

ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য নিয়ে

ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য নিয়ে: পুলকিত বেড়ালের ঘাড়ের রোঁয়ার মতো মেঘ আকাশকে আদর করছে দেখে আমার ঘরের জানালাটা কেমন মদির চোখ দিয়ে অনুরাগ পৌঁছে দিতে চায় পাশের গাছের মর্মমূলে। অকস্মাৎ গাছটির অস্তিত্বে মধুর আলোড়ন এবং নিবিড় জাগরণ শূন্যতার স্তব্ধতায় একরাশ ফুলের সুরের, কোকিলের তানের সংগত। জানালাটা যেন ওর বিবর্ণ প্রবীণ সত্তা ভুলে স্বপ্নাবেশে ভেসে যায়। জানালার কাণ্ড […]

ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য নিয়ে Read More »

ক্ষণিকের দেখা

ক্ষণিকের দেখা

ক্ষণিকের দেখা: একটু পরেই লোক পাঠাবে শামীম কবিতার জন্যে, আমি তার পথ চেয়ে আছি। অথচ কবিতা দূরে, বহুদূরে মেঘ হয়ে আছে, ঝুলে আছে আলগোছে শাখাহীন। এখন আমি কি চুপচাপ গৃহকোণে একলা থাকবো বসে নড়বড়ে চেয়ারে আমার? নাকি শার্ট আর ট্রাউজার পরে পুকুরের ঘাটে দাঁড়াবো খানিক ফুরফুরে হাওয়ায় কিছুটা বেঁচে থাকবার জন্যে কবিতার চুল টানা কিংবা

ক্ষণিকের দেখা Read More »

ধোঁয়াশার ভেতর যেতে যেতে

ধোঁয়াশার ভেতর যেতে যেতে

ধোঁয়াশার ভেতর যেতে যেতে থমকে দাঁড়িয়ে হাতে ছুঁয়ে ঠাওর করতে পারিনি দরজাটা কাঠের, লোহার না পাথরের। স্পর্শ বিলক্ষণ বুঝিয়ে দিলো দরজা খুব শক্ত কোনও পদার্থ দিয়ে তৈরি। ভেতরে প্রবেশ করা তেমন সহজ হবে না। কোনওরকম ফাঁক-ফোকর নেই, ওপর-চালাকিও নিষ্ফল। মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও ভেতরে প্রবেশাধিকার মিলবে কিনা, বলা মুশকিল। কড়া নেই যে খুব জোরে নাড়বো।

ধোঁয়াশার ভেতর যেতে যেতে Read More »

ভাষাশহীদের রক্তধারায় পুষ্পবৃষ্টি

ভাষাশহীদের রক্তধারায় পুষ্পবৃষ্টি

ভাষাশহীদের রক্তধারায় পুষ্পবৃষ্টি: আন্দোলনে সমর্পিত ছিল মনপ্রাণ, অথচ শরীর ছিল ভয়ঙ্কর থাবার দখলে বহুদিন। ফলে সভা, মিছিল, শ্লোগান থেকে দূরে, বহুদূরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হুহু কেটে গেছে। বায়ান্নোর ফেব্রুয়ারি জুড়ে শয্যাগত ছিলাম একাকী; ঘন ঘন জ্বরে পুড়েছে শরীর। অসহায় দেখেছি জ্বরের ঘোরে আমার নিজের ঘরে ন’জন রূপসী আসেন নিভৃতে কিছু নাচের স্বর্গীয় মুদ্রা দেখিয়ে এবং

ভাষাশহীদের রক্তধারায় পুষ্পবৃষ্টি Read More »

ধন্য ধন্য রবে মুখরিত

ধন্য ধন্য রবে মুখরিত

ধন্য ধন্য রবে মুখরিত: মহাকালের মৃত্তিকায় স্বাক্ষর রেখে চলেছে আমার মায়ের মুখের ভাষা, যেমন তালপাতায় মহাকাব্য রচনা করেছেন বাল্মীকি এবং ব্যাস। কপোতাক্ষ নদের কিনারে পড়ন্ত বিকেলে স্যুট-বুট-পরা মাইকেল মধুসূদন গা এলিয়ে আবৃত্তি করছেন মিল্টনের ‘প্যারাডাইস লস্ট’ কিংবা নিজের পঙ্ক্তিমালা। শান্তিনিকেতনে ধ্যানমগ্ন রবীন্দ্রনাথ মানসে ধারণ করছেন বিশ্বরূপ এবং অম্লান কাব্যধারা। লালন ফকির পথেঘাটে বাজিয়ে চলেছেন একতারায়

ধন্য ধন্য রবে মুখরিত Read More »

প্রণতি জানাই

প্রণতি জানাই

প্রণতি জানাই: এই যে আমার দু’চোখের ক্লান্তি মুছে ফেলে সবুজ গাছপালা, ফসলের মাঠ, নানা রঙের ফুল, কূল-ছাপিয়ে-ওঠা নদী, গোধূলি-রঙিন পথ, পালতোলা নাওয়ের এগিয়ে চলা হাওয়া-স্পন্দিত বাঁশপাতা, সর্ষে ক্ষেতে গ্রামীণ কিশোরীর প্রজাপতি ধরার জন্যে আভাময় ছোটাছুটি, দিঘির ঘাটে তৃষ্ণার্ত পাখির জলপান, কী করে ভুলব এদের বদান্যতা! এই নিসর্গ, এই জীবনের স্পন্দন, যে দেশে প্রস্ফুটিত, আমি সে

প্রণতি জানাই Read More »

ডাইনোসর উঠে এলেও

ডাইনোসর উঠে এলেও

ডাইনোসর উঠে এলেও: আমি তো মাঝেমাঝে বাইরেই যেতে চাই, অথচ ঘর আমাকে আটকে রাখে। ঘরে বসে আমি দেখতে পাই একচিলতে আকাশ, নীলিমার বিশালতা দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। কখনও সখনও একটি কি দুটি পাখি চোখে পড়ে। পাশের বাড়ির জানালার ওপরের কার্নিশে যুগল পায়রার কোমল প্রণয় আমাকে মুগ্ধ করে, কিন্তু ঝাঁকঝাঁক পাখির পভূক্তিমালা আমার উৎসুক দৃষ্টির আওতার

ডাইনোসর উঠে এলেও Read More »

নাকি শুধু হিমযুগ

নাকি শুধু হিমযুগ

নাকি শুধু হিমযুগ: তাকে কি নিশুতি রাত ডেকেছিল? নাকি সমুদ্রের তরঙ্গের ধ্বনি তার কানে ঢেলেছিল জলকন্যাদের কোনও মোহময় গান? নইলে কেন শহুরে বাড়ির সুসজ্জিত বড় ঘরে কাউকে কিছু না ব’লে মধ্যরাতে কেমন নিশ্চুপ নিঃসাড়, শীতল হয়ে গেলেন হঠাৎ আঙুলের ফাঁকে ছিল আধপোড়া, নেভা সিগারেট, টিপয়ে ফতুর গ্লাশ, ঈষৎ কুঞ্চিত নিরুপায় রাতের পোশাক গায়ে। নানান হুইস্কি,

নাকি শুধু হিমযুগ Read More »

অফিস হওয়ার জন্যে

অফিস হওয়ার জন্যে

অফিস হওয়ার জন্যে: এখন ঘন ঘন আমার চারপাশে আজরাইলের চিরতরে দু’চোখ-বোজানো কৃষ্ণ ডানা ঝলসে উঠছে। একে একে অন্তর্হিত হচ্ছেন আমার চেনাজানা অনেকেই। তাদের কেউ কেউ খুবই ঘনিষ্ঠজন। এই তো সেদিন সেই কৃষ্ণ ডানা আমাকেও ঝাপ্‌টা মারতে চেয়েছিল। এবার ফাঁড়া কেটেছে, আবার কবে ডানা ছড়িয়ে হাজির হয় আজরাইল, কে জানে! মিস্টার ডেথ, জনাব মণ্ডত সম্প্রতি আমার

অফিস হওয়ার জন্যে Read More »

কবি লিখে যান জয়গাথা

কবি লিখে যান জয়গাথা

কবি লিখে যান জয়গাথা মুদ্রিত তথ্যানুযায়ী জানি লোকটার জীবনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মিশেছে ধূসর গোধূলিতে। ছিল না সে কারও সাতেপাঁচে, লাঠি দিয়ে মারেনি মাথায় বাড়ি কোনও মানবের অথবা কখনও তাক করেনি বন্দুক কারও বুক লক্ষ করে, এমনকি পাখিরও জীবন করেনি হরণ কোনওকালে। যতদূর জানি, আজ অব্দি প্রাণীহত্যা স্বচক্ষে দেখেনি, বরং সে রেখেছে দু’হাতে মুখ ঢেকে, যখন

কবি লিখে যান জয়গাথা Read More »

Scroll to Top